জাতীয়তাবাদী ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (জেবিএবি) বেসরকারি ব্যাংক ইউনিটের ১৩১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

প্রকাশিত: ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৩, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেশাজীবী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (জেবিএবি)–এর বেসরকারি ব্যাংক ইউনিটের ১৩১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

নতুন কমিটিতে সিটি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম মাসুম সভাপতি এবং এসবিএসসি ব্যাংক পিএলসির কর্মকর্তা মিরাজ উদ্দীন চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন জেবিএবি কেন্দ্রীয় আহবায়ক ইকবাল হোসেন এবং সদস্য সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক।

এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংকের কর্মকর্তা রাশেদ আনসারী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের কর্মকর্তা নেছার আহমেদ, এবং ১ নং ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে আছেন ব্র্যাক ব্যাংক কর্মকর্তা নুরুল আমিন মোল্লা। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর মতিঝিলে জেবিএবি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে গত মার্চ মাসে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল, যার নেতৃত্বে থেকেই দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় এই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়।

নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সারাদেশের ব্যাংকারদের মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও আশার সঞ্চার হয়েছে। সদস্যরা মনে করছেন, এই নেতৃত্ব ব্যাংকিং খাতে এক নতুন নবজাগরণ সৃষ্টি করবে এবং পেশাগত মর্যাদা ও ন্যায্য অধিকার আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, জেবিএবি শুধুমাত্র একটি পেশাজীবী সংগঠন নয়, এটি জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ একটি আদর্শিক শক্তি। তারা বিশ্বাস করেন, ঐক্য, সততা ও দায়িত্ববোধের মাধ্যমে ব্যাংকারদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, কর্মপরিবেশের উন্নয়ন এবং ব্যাংকিং খাতের সেবার মান আরও বাড়ানো সম্ভব।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “আমরা এমন একটি ব্যাংকিং খাত চাই যেখানে কোনো প্রকার দলীয় প্রভাব, অনিয়ম বা অন্যায়ের স্থান থাকবে না। আমাদের লক্ষ্য একটি পেশাদার, নৈতিক ও আদর্শিক ব্যাংকিং সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করা।”

তারা আরও বলেন, সংগঠনের প্রতিটি সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে আধুনিক, কর্মীবান্ধব ও স্বচ্ছ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রতিটি ব্যাংকারের দাবি, সমস্যা ও পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংগঠন সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।

কেন্দ্রীয় আহবায়ক ইকবাল হোসেন ও সদস্য সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক জানিয়েছেন, এই কমিটি হলো দীর্ঘ প্রস্তুতি ও নিবেদিত প্রচেষ্টার ফসল। কমিটি গঠনের পেছনে নিরলস পরিশ্রম করেছেন বহু সংগঠক, বিশেষভাবে ওমর ফারুক অমি, মানিক এবং ওমর ফারুক (IBBL)—তাদের আন্তরিক শ্রম ও সংগঠনের প্রতি ভালোবাসা সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে।

জেবিএবির নতুন নেতৃত্বের প্রতি ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আস্থা ও প্রত্যাশা উভয়ই উঁচু পর্যায়ের। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, এই নেতৃত্ব ব্যাংকিং খাতের সার্বিক উন্নয়ন, কর্মীদের ন্যায্য প্রাপ্য নিশ্চিতকরণ এবং জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাংকারদের ভূমিকা আরও সুদৃঢ় করবে।

নবগঠিত কমিটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে—জাতীয়তাবাদী চেতনা, পেশাদারিত্ব ও জনসেবার মেলবন্ধনে একটি শক্তিশালী ও গণতান্ত্রিক ব্যাংকিং সংস্কৃতি গড়ে তুলবে।

ব্যাংক কর্মকর্তা সমাজের প্রত্যাশা, জেবিএবির নতুন কমিটি ব্যাংকিং খাতে জাতীয়তাবাদী মূল্যবোধ, পেশাগত উৎকর্ষতা ও সেবার মানোন্নয়নে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।