বাড়তি শুল্ক স্থগিত করার পরও বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা প্রকাশিত: ১০:২০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০২৫ বিশেষ প্রতিনিধি : অর্থনীতিবিদ জো ব্রুসুয়েলাস সতর্ক করে বলেন, সাময়িক স্থগিতাদেশ মন্দা রোধে যথেষ্ট নাও হতে পারে। গোল্ডম্যান স্যাক্সের অর্থনীতিবিদরাও আগামী ১২ মাসে অন্তত ৪৫ শতাংশ মন্দার পূর্বাভাস দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা আরো জানিয়েছেন, এখনো ১০ শতাংশ সর্বজনীন শুল্ক আগের মতোই বহাল, যা বিশ্ব বাজারে বড় ধাক্কা দিতে পারে। এই ধাক্কা হতে পারে ২০১৮-১৯ সালের বাণিজ্যযুদ্ধের ধাক্কার ৭ দশমিক ৫ গুণের সমান। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘বাণিজ্যযুদ্ধ শেষ হয়নি, বরং এটা কেবল শুরুর শেষ।’ কারণ বিশ্ব শেয়ার বাজারে সূচকের পতন গতকাল শুক্রবারও অব্যাহত ছিল। এমনকি গত তিন বছরে প্রথম বারের মতো ইউরোর বিপরীতে ডলারের মূল্য কমেছে। শুল্কযুদ্ধ শুরু যেভাবে স্টিফেন মিরান। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ। এই মিরানই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্কের প্রকৃত পরিকল্পনাকারী বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর স্টিফেনকে ট্রাম্পের ‘কাউন্সিল অব ইকনোমিক অ্যাডভাইসার্স’ এর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি প্রেসিডেন্টের শুল্ককেন্দ্রিক বাণিজ্য নীতির অন্যতম পরামর্শদাতা। গত নভেম্বরে স্টিফেন ৪১ পাতার ‘বিশ্বব্যাপী ট্রেডিং সিস্টেম পুনর্গঠনের জন্য ব্যবহারকারীর নির্দেশিকা’ রচনা করেন। এই নির্দেশিকাকেই মাথায় রেখেই শুল্কনীতির পরিকল্পনা করে ট্রাম্প প্রশাসন। নির্দেশিকাটিতে দাবি করা হয়েছে, শুল্ককে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে অন্যান্য দেশের বাজারে মার্কিন পণ্য রপ্তানির নিরাপদ প্রবেশাধিকারের শর্ত তৈরি করবে। এরপর সেই নির্দেশিকা মেনেই এগিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। এশিয়া তো বটেই, ট্রাম্পের রোষানল থেকে রেহাই পায়নি প্রধান মিত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোও। ইইউভুক্ত দেশগুলোর উপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। এই কর প্রযোজ্য হচ্ছে ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, গাড়িসহ আরো নানা সামগ্রীতে। এর পাশাপাশি ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে আরো বহু পণ্যে। যদিও গত ৯ এপ্রিল গভীর রাতে বর্ধিত শুল্কহার আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। SHARES অর্থনীতি বিষয়: